ভোটগ্ৰহণ পর্ব মিটলেও অব‍্যাহত হিংসা : রাতের অন্ধকারে আক্রান্ত দুই তৃণমূল কর্মী

2nd April 2021 9:05 am বাঁকুড়া
ভোটগ্ৰহণ পর্ব মিটলেও অব‍্যাহত হিংসা : রাতের অন্ধকারে আক্রান্ত দুই তৃণমূল কর্মী


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়ার সোনামুখী পৌর শহরে দ্বিতীয় দফায় ভোটের দিন বিজেপির এক পোলিং এজেন্টকে মারধোরের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই সোনামুখী শহরের স্বর্ণময়ী মন্দির এলাকায় ঐ দিন রাতেই দুই তৃণমূল কর্মীকে মারধোরের অভিযোগ উঠলো বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্ত্তী মার ও পাল্টা মারের অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো বাঁকুড়ার এই প্রাচীণ পৌর শহর।

    তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ভোট শেষে অক্ষয় বাউরী নামে তাদের কর্মীকে বিজেপি আশ্রিত দূস্কৃতিরা লাঠি, তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় ঐ কর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে এক ব্যবসায়ীও গুরুতর আহত হন। দু'জনকেই সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। তৃণমূলের তরফে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন।

  ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ী কিশোর রক্ষিতের দাবি, তার দোকানে ঐ তৃণমূল কর্মী ঠাণ্ডা পানীয় খেতে এসেছিলেন। তখন বিজেপি কর্মীরা লাঠি তলোয়ার নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় তিনি নিজে যেমন আহত হয়েছেন তেমনি তার দোকানে লুঠপাট, ভাঙ্গচূর চালানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

  'আহত' তৃণমূল কর্মী অক্ষয় বাউরীর দাবী, দোকানে বসে ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়ার সময় বিজেপির লোকেরা তাকে মারধোর করে। তারা তৃণমূল করেন বলেই এই আক্রমণ বলে তিনি দাবি করেন।

বিজেপির তরফে তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। দলের সোনামুখী নগর মণ্ডলের সভানেত্রী সম্পা গোস্বামী বলেন, এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজ নেবেন বলেও জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।